প্লেনে করে চার হাজার গাই আনছে কাতার

টাটকা দুধের জোগান নিশ্চিত করতে বিমানে করে ইউরোপ থেকে গাভি আমদানি করছে কাতার। সৌদি আরবের স্থলপথ ব্যবহার করে এত দিন কাতার দুধ দুগ্ধজাত পণ্য আমদানি করে এসেছে। সম্প্রতি সৌদির নেতৃত্বে আরব দেশগুলো মধ্যপ্রাচ্যের ছোট এই দেশটিকে একঘরে করার ঘোষণা দিয়েছে। অবস্থায় কাতার গাভি আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। খবর বিবিসির।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জার্মানি থেকে উন্নত হোলস্টেইন জাতের প্রায় চার হাজার গাভি আমদানি করবে কাতারের দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল। এর মধ্যে প্রথম চালানে ১৬৫টি গাভি এসে গেছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কাতার এয়ারওয়েজের একটি কার্গো বিমানে করে গাভিগুলো আনা হয়। বিমানটি বুদাপেস্ট হয়ে কাতার পৌঁছায়। সেখানে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের ডেইরি ফার্মে সেগুলো নিয়ে যাওয়া হয়।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান মৌতাজ আল-খায়াত গত মাসে ব্লুমবার্গকে বলেছেন, সব কটি গাভি এসে গেলে তাঁর প্রতিষ্ঠান পুরো কাতারবাসীর দুধের চাহিদার ৩০ শতাংশ পূরণ করতে পারবে। তিনি বলেন, এই গাভির দুধ দুগ্ধজাত পণ্যমি. আল-খায়াতনামের একটি নতুন ব্র্যান্ডের অধীনে বিক্রয় করা হবে।
কাতার সন্ত্রাসীদের মদদ দিচ্ছে এবং ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখছেএমন অভিযোগ তুলে সপ্তাহ পাঁচেক আগে সৌদি আরব, বাহরাইন, মিসর সংযুক্ত আরব আমিরাত কাতারকে বয়কট করা শুরু করে। তবে কাতার বরাবরই ভুল কিছু করার কথা অস্বীকার করে আসছে।
সৌদি আরবের শর্ত না মানায় আরব দেশগুলো কাতারের বিমান, নৌ স্থলপথে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এতে ২৭ লাখ কাতারবাসী গুরুতর অসুবিধার মুখে পড়েছে। কারণ, তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বেশির ভাগই আমদানি করতে হয়।
কাতার অনেক আগে থেকেই তুরস্ক থেকে দুগ্ধজাত পণ্য এবং ইরান মরক্কো থেকে শুকনো খাবারসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি করে। সৌদি তার মিত্র দেশগুলোর ভূখণ্ড ব্যবহার করতে না পারায় কাতার এখন পণ্য আমদানি-রপ্তানির নতুন পথ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।
Previous
Next Post »