৩০ মার্কিন কূটনীতিক বহিষ্কারে প্রস্তুত মস্কো

প্রায় ৩০ জন মার্কিন কূটনীতিককে বহিষ্কার এবং রাশিয়ায় আমেরিকার মালিকানাধীন দুটি স্থাপনা জব্দ করতে প্রস্তুত রয়েছে মস্কো। রাশিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ ওঠার পরিপ্রেক্ষিতে গত ডিসেম্বরে তখনকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ৩৫ জন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার এবং আমেরিকায় রুশ মালিকানাধীন দুটি স্থাপনা জব্দ করেছিলেন। সেটিরই পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে মস্কো সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে রুশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র উল্লেখ করে স্থানীয় সংবাদপত্র ইজভেস্তিয়ায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে আজ মঙ্গলবার বিবিসি কথা জানিয়েছে।
ইজভেস্তিয়া বলেছে, হামবুর্গে জুলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করার সময় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রুশ কূটনীতিকদের বহিষ্কারের বিষয়টি তুলেছিলেন। ক্রেমলিন সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমটির তথ্যমতে, রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ্যাবকভের সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি থমাস শ্যাননের মধ্যকার আসন্ন বৈঠক পর্যন্ত অপেক্ষা করবে মস্কো। ওই বৈঠকে বিষয়ে কোনো সমঝোতা না হলে রাশিয়া উল্লিখিত পদক্ষেপগুলো নিতে পারে। এর আগে ক্রেমলিন সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তার সাম্প্রতিক বিভিন্ন বিবৃতিতেও এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
বারাক ওবামা ক্ষমতা ছাড়ার মাত্র কয়েক দিন আগে এক নির্বাহী আদেশে ওয়াশিংটন এবং সান ফ্রান্সিসকোয় কর্মরত ৩৫ জন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার এবং নিউইয়র্ক ম্যারিল্যান্ডের দুটি রুশ গোয়েন্দা কম্পাউন্ড বন্ধ করেন। ধরনের পরিস্থিতিতে রাশিয়া সাধারণত তাৎক্ষণিকভাবে পাল্টা ব্যবস্থা নেয়। কিন্তু রাশিয়া তখন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। মস্কোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ওয়াশিংটনের নীতি কী হবে, তা দেখে তারা পাল্টা ব্যবস্থার কথা ভাববে। এরপর ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠকে বিষয়টি তোলা হলেও এখনো তা অনিষ্পন্ন রয়ে গেছে।
নাম প্রকাশ না করা একজন রুশ কূটনীতিকের বরাত দিয়ে ইজভেস্তিয়া পত্রিকাটি বলেছে, আমেরিকা বহিষ্কৃত কূটনীতিকদের পুনর্বহাল না করলে রাশিয়া ৩০ মার্কিন কূটনীতিককে বহিষ্কারের পাশাপাশি মস্কোয় আমেরিকার একটি ওয়ার হাউস এবং সেরেব্রয়ানি এলাকায় মার্কিন সরকারের মালিকানাধীন একটি ভবন জব্দ করবে।
বিবিসির মস্কো সংবাদদাতা স্টিভ রোজেনবার্গ বলেছেন, এতে ডোনাল্ড ট্রাম্প উভয়সংকটে পড়েছেন। তিনি যদি রাশিয়ার কথামতো তাদের কূটনীতিকদের পুনর্বহাল করেন তাহলে তাঁকেরাশিয়ার তল্পিবাহকবলে যে আখ্যা দেওয়া হয়ে থাকে তা আরও প্রতিষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে রাশিয়া শেষ পর্যন্ত পাল্টাব্যবস্থা নিয়ে ফেললে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উষ্ণ করার যে প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছিলেন, তা রক্ষা করা সম্ভব হবে না।
Previous
Next Post »